ঢাকাFriday , 13 December 2024
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জয় বাংলা নিয়ে যা বলেছেন আইভী

খান শুভ
December 13, 2024 8:30 am
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি :

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া যোদ্ধাদের প্রেরণাদায়ক স্লোগানগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি স্লোগান ছিলো ‘জয় বাংলা’। তবে এই স্লোগানটি দলীয় স্লোগান হিসেবেই ব্যবহার করে আসছে আওয়ামী লীগ। বিগত ১৫ বছর এই জয় বাংলা স্লোগানকে ব্যবহার করে নানান অপকর্ম করায় সাধারণ মানুষের এই স্লোগান প্রতি বিতৃষ্ণা তৈরী হয়েছে। আওয়ামী লীগ এই স্লোগানটি কুক্ষিগত করে রেখে এই স্লোগানকে মানুষের বিপক্ষে দাঁড় করিয়েছে এমনটাই বলছেন জুলাই অভ্যুত্থানের আন্দোলনকারী ও সমর্থকরা।
তবে জয় বাংলা স্লোগান কুক্ষিগত রাখার বার্তা কেবল আওয়ামী লীগ বিরোধী মানুষের নয়। খোদ আওয়ামী লীগের সাবেক জনপ্রতিনিধি এবং নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। আওয়ামী লীগ যে মুক্তিযুদ্ধের এই স্লোগানটি কুক্ষিগত করে রেখেছে তা বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। তাই তো এই স্লোগানের মর্যাদা রক্ষায় নিজ দলের সমালোচনা করেন সবার সামনে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে এই বক্তব্য ব্যাপক আলোচনা তৈরী করলেও নিরবে অনেকেই এই কথাকে সমর্থন প্রদান করেন।
গত বছরের ১৫ জুলাই সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নারীপক্ষ সংগঠনের আয়োজনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘জয় বাংলা বলতে দ্বিধা করবেন না। জয় বাংলা রণাঙ্গনের স্লোগান। আওয়ামী লীগের একক সম্পত্তি নয়। আওয়ামী লীগ কুক্ষিগত করে রেখেছিল জয় বাংলাকে। জয় বাংলা সকলের। কৃষক-মজুরের স্লোগান, আমজনতার স্লোগান। আপনার-আমার মতো নারীদের স্লোগান। যেই স্লোগান দিয়ে ওই সময় সাহস জোগাতে, সেই স্লোগান দিয়ে একদম মাঠে নেমে যাবেন। এটা আমাদের সকলের স্লোগান। এটা শুধু আওয়ামী লীগের স্লোগান নয়।’
তার এই বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরে থাকা আইভী বিরোধী নেতারা সমালোচনা শুরু করেন। আওয়ামী লীগকে নেতিবাচক রূপে উপস্থাপন করেছেন আইভী এমন অভিযোগ তুলতে শুরু করেন। কিন্তু আইভী এই কথার স্বপক্ষে নতুন করে কোন ব্যাখ্যা দাঁড় করাননি। বরং তিনি তার বক্তব্যে ছিলেন অবিচল। যেটা সত্য এবং তিনি যা বাস্তবে দেখেছেন তাই বলেছেন। সত্যিকার অর্থেই এই জয় বাংলা স্লোগানকে ব্যবহার করে নানান সুবিধাভোগীরা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দাবী করে অপকর্ম চালিয়ে গেছে।
২০২০ সালে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে রায় দেয় হাইকোর্ট। এই রায়ের বিপরীতে আপিল করলে চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বর শুনানী শেষে এই রায় স্থগিত করা হয়। জয় বাংলা মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান হলেও এই স্লোগান আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশী সময় ধরে ব্যবহার করেছে তাদের অপকর্ম চালিয়ে নেবার জন্য। সকল অপকর্ম ও অনৈতিক কাজকে ধামাচাপা দিতে ব্যবহার করেছে জয় বাংলা স্লোগান, শেখ মুজিব আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বুলি। অথচ তাদের কর্মকান্ড ছিলো মুক্তিযুদ্ধের আশা আকাঙ্খার পুরোপুরি বিপরীত।
সচেতন নগরবাসী বলছেন, ‘আইভী বরাবরই ছিলেন অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতাদের চাইতে বিপরীত। দলের প্রধান যেখানে ত্বকী হত্যাকান্ডের ঘটনার পর শামীম ওসমানের পক্ষ অবলম্বন করেছেন। সেখানে আইভী দলীয় নেত্রীর বিপরীতে অবস্থান নিয়ে এই হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করেছেন বছরের পর বছর। জয় বাংলা স্লোগান আওয়ামী লীগ কুক্ষিগত করে অপকর্ম চালিয়ে গেলেও এনিয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। কিন্তু আইভী দলীয় পদ পদবীতে থেকেই এর প্রতিবাদ জানিয়ে গেছেন। যা স্বাভাবিক ভাবেই তাকে অন্য সকলের চাইতে আলাদা এবং সম্মানিত করেছে।’

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।