রংপুরের পীরগঞ্জে শিশু কন্যা ও মাকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: সংগৃহীত
দ্য স্টার নিউজ ডেস্ক ,
জেলার পীরগঞ্জে দেড়মাসের ব্যবধানে শিশু কন্যা ও মাকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আতিকুল ইসলামের বাড়িতে আগুনদিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় তারা অভিযুক্ত আতিকুলের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
গতকাল রবিবার (০৯ ফেব্রুয়ারী ) সকালে শিশু সায়মার মরদেহ উদ্ধারের পর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।অভিযুক্ত আতিকুল ইসলাম (৩৫) পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, গত (০৭ফেব্রুয়ারি ) দুপুরে উপজেলার চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়া গ্রামের পাশে মরিচখেত থেকে মাথাহীন এক নারীর মরদেহউদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় আতিকুল ইসলামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আতিকুলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার বিকেলেউপজেলার করতোয়া নদীর টোংরারদহ থেকে মাটি খুঁড়ে দেলোয়ারা বেগমের খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয়।পরে পুলিশনিশ্চিত হয়, হত্যার শিকার দেলোয়ারা বেগম নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বাসিন্দা। তার বিয়ে হয়েছিল গাইবান্ধারগোবিন্দগঞ্জে। পরবর্তীতে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ হয়।
দেলোয়ারার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দোলোয়ারা বেগমের সঙ্গে বদনাপাড়া গ্রামের আতিকুল ইসলামের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কছিল। তারা দুজন গ্রামগঞ্জে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান–বাজনা করে বেড়াতেন। আতিকুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশগতকাল সকালে অভিযুক্ত আতিকুলের বাড়ির পেছন থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বাগানে পুঁতে রাখা শিশু সাইমার মরদেহউদ্ধার করে। এর পরপরই বিক্ষুদ্ধ জনতা আতিকুল ইসলামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার মোকলেছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে দেখি টিনশেডতিন–চারটি ঘরে আগুন জ্বলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে।পীরগঞ্জ থানা পুলিশেরভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, অভিযুক্ত আতিকুল ইসলামের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই নারীর শরীর থেকেখণ্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয়।
শনিবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদে দোলোয়ারা বেগমের পাঁচ বছর বয়সী শিশুকন্যাকে দেড় মাস আগে হত্যা করে পুঁতে রাখারকথাও স্বীকার করেন তিনি।এম এ ফারুক আরও বলেন, রোববার সকালে আতিকুলের বাড়ির পাশের সুপারি বাগান থেকে শিশু সায়মার মরদেহ উদ্ধারকরে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুনেছি ঘটনাটি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ জনতাআতিকুলের বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। আদালতে একটা শুনানি থাকায় আমি ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি।