মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী মেক্সিকো সিটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগেঅনুষ্ঠিত রবিবার (০৯ ফেব্রুয়ারী ) ‘মিট দ্য এম্বাসেডর’ শীর্ষক এক মত বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ছবি: সংগৃহীত
দ্য স্টার নিউজ ডেস্ক ,
মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, মেক্সিকোর শ্রমবাজারে বাংলাদেশের দক্ষজনশক্তি, বিশেষ করে আইটি, কৃষি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য পেশাজীবী খাতে কাজের সুযোগ তৈরির জন্য বাংলাদেশদূতাবাস সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।
মেক্সিকো সিটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে রবিবার ‘মিট দ্য এম্বাসেডর’ শীর্ষক এক মত বিনিময় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিতহয়। অনুষ্ঠানে সেখানে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।দূতাবাসের হেড অফ চ্যান্সারি আব্দুল্লাহ আল ফরহাদের সঞ্চালনায় আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানেরাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণভূমিকা রাখছে।
তার সময়ে দূতাবাসটি একটি জনবান্ধব মিশন হিসেবে গড়ে উঠবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি পিপল টু পিপলকানেকশন বা জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদেরস্বাগতিক দেশের নিয়ম–কানুন মেনে চলার আহ্বান জানান এবং মেক্সিকোর পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার মানবপাচার রোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। তিনি নিরাপদ ওনিয়মিত অভিবাসন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে এই প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করারঅঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। মেক্সিকোর শ্রমবাজারে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি বিশেষ করে আইটি, কৃষি, ইঞ্জিনিয়ারিং ওঅন্যান্য পেশাজীবী খাতে কাজের সুযোগ তৈরির জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস
সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।রাষ্ট্রদূত বলেন, মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে তৈরি পোশাকও ওষুধ রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকা চামড়াজাত পণ্য, আইটি সেবা ও কৃষি পণ্যের রপ্তানিবাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হবে।তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে জীবন উৎসর্গকারী শহিদদের স্মরণ করেবলেন, তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি কখনো ভুলবে না।
রাষ্ট্রদূত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি ফ্যাসিবাদের বিচারে আইনানুগ প্রক্রিয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলেবাংলাদেশ গুম ও খুনের রাজ্য হিসেবে পরিচিত হয়েছিল। কিন্তু এখন সময় এসেছে সেই অধ্যায় পেছনে ফেলে বাংলাদেশকেএকটি সুশৃঙ্খল, সভ্য ও উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্ব–দরবারে তুলে ধরার।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘আমরা গর্বিত যে, নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বনিয়েছেন। নিশ্চিতভাবেই তিনি জন–আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণেরমালিকানা প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হবেন।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কমিউনিটির বেশ কয়েকজন সদস্য বক্তৃতা করেন। তারা রাষ্ট্রদূতকেতার নতুন দায়িত্বের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তারা প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে তার পাশে থাকারপ্রতিশ্রুতি দেন।অনুষ্ঠানের শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী খাবারে আপ্যায়ন করা হয়।