দিপা আক্তার
বিশেষ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে নৌ পুলিশের অভিযানে সংঘবদ্ধ অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের সাত সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। এ চক্রটি অটোরিকশা চালকদের চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দিত। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত অটোরিকশা, মোবাইল ফোন, চেতনানাশক ওষুধ এবং বিক্রিত অটোরিকশার নগদ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে একটি অজ্ঞাত মরদেহ পাওয়া যায়। পরে গণমাধ্যমের সহায়তায় নিহতের পরিচয় শনাক্ত হলে তার পরিবার ৫ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
এরপর নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বিপিএম-সেবার (বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি) নেতৃত্বে কাঁচপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আবদুল মাবুদসহ পুলিশের একটি বিশেষ টিম তদন্ত শুরু করে। অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে থেকে চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো:
১. লিয়ন (৩২)
২. মো. বোরহান ওরফে ইমরান ওরফে সোহেল ওরফে পিচ্ছি (২১)
৩. মো. শাওন বেপারী (২২)
৪. মোসা. পারভীন বেগম (২২)
৫. শাহীন মোল্লা (৩০)
৬. মোহাম্মদ আলী (৫৫)
৭. মো. আল আমিন সর্দার (৩৮)
তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত একটি অটোরিকশা, নিহত চালকের ব্যবহৃত আইটেল মোবাইল ফোন, অটোরিকশা বিক্রির ২৫ হাজার টাকা এবং চালকদের অজ্ঞান করার কাজে ব্যবহৃত চেতনানাশক ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানা এলাকায় এ ধরনের অপরাধ করে আসছিল। তারা কৌশলে চালকদের অজ্ঞান করে অটোরিকশা ছিনতাই করত এবং পরে লাশ নদীতে ফেলে দিত।নৌ পুলিশ জানায়, এই চক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে।