বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী ) বিসিআই–এর আমন্ত্রণে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং শিক বিসিআই কার্যালয়পরিদর্শন করেন। ছবি: বিসিআই
দ্য স্টার নিউজ ডেস্ক ,
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং শিক বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী ) বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ(বিসিআই) এর সদস্যদের সাথে বৈঠককালে বলেছেন, ১৯৭৩ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে বাংলাদেশ ওকোরিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে একসাথে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে আগ্রহী। বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যেবর্তমানে ইকোনমিক পার্টনারশিপ আ্যগ্রিমেন্ট (ইপিএ) স্বাক্ষরের কাজ চলমান রয়েছে। ইপিএ স্বাক্ষর হলে দুই দেশের মধ্যেঅর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
আজ বুধবার সকালে বিসিআই–এর আমন্ত্রণে বাংলাদেশে দায়িত্বরত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং শিক বিসিআই কার্যালয়পরিদর্শন করেন। এ সময় বিসিআই সভাপতি আনোয়ার–উল–আলম চৌধূরীর (পারভেজ) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উভয় দেশের শিল্প ও ব্যবসা ক্ষেত্রে পরস্পরের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের শিপ বিল্ডিং, গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল খাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের দক্ষতা উন্নয়নেকোরিয়ার সহায়তায় বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় তিনটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে।
কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো–অপারেটিভ এজেন্সি বর্তমানে বাংলাদেশে কর্মীদের টেকনিক্যাল ট্রেইনিং নিয়ে কাজ করছে।পিক বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ান ব্যবসায়ীরা ভিসা ও কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স জটিলতা ফেস করেন। এছাড়াও নবায়নযোগ্যজ্বালানি বিডিং প্রক্রিয়া বেশ জটিল ও সময় সাপেক্ষ।বিসিআই সভাপতি আনোয়ার–উল আলম চৌধূরী (পারভেজ) তারবক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি শুরুর সময়কার দিকে কোরিয়ার ভূমিকা স্মরণ করেন।
বিসিআই সভাপতি বলেন, কোরিয়ার মত কারিগরি জ্ঞানে সমৃদ্ধ দেশ থেকে দক্ষ প্রশিক্ষক এনে দেশে প্রশিক্ষক তৈরি করতেচাই। যারা পরবর্তীতে সারা দেশে দক্ষ কর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরি করবে এবং দক্ষ জনবলের যে স্বল্পতা আছে তা নিরসন করতেসহায়তা করবে। বিসিআই সভাপতি দেশে দক্ষ প্রশিক্ষক তৈরি, কোর্স কারিকুলাম ও প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, আধুনিক প্রযুক্তিরব্যবহারের সক্ষমতা, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, এবং রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য কোরিয়ার সহোযগিতা আহ্বান করেন।
তিনি বলেন, আমাদের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আ্যাগ্রো প্রসেসিং, আইসিটি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কোরিয়ান সহায়তা খুবই দরকার। বিসিআই প্রেসিডেন্ট কোরিয়ান দূতকে জানান, তিনি আলোচনার বিষয়বস্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে আলোচনাকরে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেবেন।
এছাড়াও বিসিআই’র সিনিয়র সহ–সভাপতি প্রীতি চক্রবতী, পরিচালক চৈতন্য কুমার দে (চয়ন) এবং যেয়াদ রহমান, বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমইএ) এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মঈনুলইসলাম বক্তব্য রাখেন।