নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি,
নারায়ণগঞ্জে স্বামীকে আটকে নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ এবং সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়াসহ হুমকি দিয়ে এককলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার আট দিন পর মামলা নিয়েছে পুলিশ।গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ফতুল্লাথানার একটি এলাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
তবে, মামলা রেকর্ড করা হয় গত মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে। মামলার পর গতকাল বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জজেনারেল হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।তবে ভুক্তভোগীরা ঘটনার পরপরই থানায় গেলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টাসেখানে বসিয়ে রাখাসহ পুলিশের গাফিলতির কারণে এ ঘটনায় ন্যায়বিচার থেকে তারা বঞ্চিত হবেন বলে আশঙ্কা করছেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত দুইজনের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির একজন ওইনারীর ভাড়াটে বাসার মালিকের ছেলে এবং অন্যজন তার বন্ধু।মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানারভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। তবে ভুক্তভোগী নারীরমামলা রেকর্ডে গাফিলতির বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
মামলায় বলা হয়, ভুক্তভোগী নারী গত জানুয়ারিতে পরিবারের অমতে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্বামী–স্ত্রীফতুল্লা এলাকায় আলাদা বাসায় থাকতেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই নারীর বাসায় তার স্বামী দেখা করতে গেলে তাকে(স্বামী) বাড়ির সামনে থেকে কয়েকজন যুবক তুলে নিয়ে যায়। পরে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তারা মারধর করেভিডিও ধারণ করে।
এ ভিডিও দেখিয়ে স্বামীকে হত্যার হুমকি দিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
ভুক্তভোগী নারী নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী এবং স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরিকরেন। এ ছাড়া তার স্বামী অন্য একটি পোশাক কারখানার কর্মী। তাদের দুইজনেরই স্থায়ী নিবাস দক্ষিণাঞ্চলের পৃথক দুইজেলায়।মোবাইল ফোনে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী জানান, ঘটনার রাতে তার স্ত্রী অসুস্থ বোধ করায় ওষুধ নিয়ে তার বাসায়যান। ওষুধ দিয়ে বের হওয়ার পর তাকে বাড়ির মালিকের ছেলে ও তার বন্ধুরা আটকায়।
তার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে মারতে মারতে বাড়ি থেকে দূরে একটি ফাঁকা স্থানে নিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে তাকেনির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে দুই যুবক সেই ভিডিও দেখিয়ে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমারমজুমদার বলেন, ‘ওই নারীর ধর্ষণের বিষয়টি মঙ্গলবার রাতে জানার পরপরই মামলা নিতে বলা হয়। পুলিশের গাফিলতিথাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।