শান্তর মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি হবে না বলে মনে করেন সালাউদ্দিন। ছবি : সংগৃহীত
স্পোর্টস ডেস্ক ,
বিপিএলে উপেক্ষিত থাকলেও জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর আত্মবিশ্বাসে কোনো চিড় ধরবে না—এমনটাই মনে করেন বাংলাদেশের সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তার মতে, টি–টোয়েন্টিতে খেলার সুযোগ নাপেলেও ওয়ানডে ফরম্যাটে তিনি পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবেন আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে।বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদলের সদস্য হয়েও একাদশে জায়গা পাচ্ছেন না শান্ত।
এবারের আসরে পাঁচ ম্যাচ খেলেও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেননি তিনি। তার স্কোর: ০, ৯, ৪, ৪১ ও ২। এমনপারফরম্যান্সের পর দল থেকে বাদ পড়েন এবং আর একাদশে ফেরা হয়নি। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালওদুঃখ প্রকাশ করেছেন শান্তকে সুযোগ দিতে না পারায়। ‘আমি স্বীকার করছি, ওর মতো একজনকে যথাযথ সুযোগ দিতে নাপারাটা দুর্ভাগ্যজনক।
আমাদের দলের কম্বিনেশন মিলানো কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। তাই শান্তকে একাদশে নেওয়া সম্ভব হয়নি,’ বলেন তামিম।বিপিএলে নিয়মিত না খেলায় শান্তর আত্মবিশ্বাস কমতে পারে—এমন আলোচনা উঠলেও সালাউদ্দিন মনে করেন, ফরম্যাটের পার্থক্যের কারণে সেটা হবে না। ‘বিপিএল টি–টোয়েন্টি ফরম্যাট, আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট।
এখানে ব্যর্থ হলেও ওয়ানডেতে সেটার প্রভাব পড়বে না। খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস তাদের মানসিকতার ওপর নির্ভর করে।কেউ যদি ভাবেন ‘আমি পারব’, তাহলে তিনি পারবেনই। তিনি আরও বলেন, ‘শান্ত কিন্তু বসে নেই। নিয়মিত অনুশীলনকরছে, নিজেকে প্রস্তুত করছে। আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে ম্যাচ খেলাই একমাত্র উপায় নয়।সালাউদ্দিনের মতে, মুশফিকুররহিম ও মাহমুদউল্লাহর ভবিষ্যৎ নিয়ে অযথা চাপ সৃষ্টি করা ঠিক নয়। অনেকেই মনে করছেন, আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই হতেপারে তাদের শেষ বড় টুর্নামেন্ট, তবে সালাউদ্দিনের মতে সিদ্ধান্তটা খেলোয়াড়দের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত।
এখনকার ক্রীড়াবিদরা দীর্ঘদিন ফিটনেস ধরে রাখতে পারেন। তাদের খেলা পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করা উচিত, বয়সেরওপর নয়। যদি তারা মনে করে আরও দুই বছর খেলতে পারবে, তাহলে সেটাই হওয়া উচিত।চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেবাংলাদেশ দলকে মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখাই তার প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন সালাউদ্দিন। এখন দেখার বিষয়, বেঞ্চেবসে থাকা শান্ত আসন্ন মেগা–টুর্নামেন্টে নিজের সামর্থ্যের কতটা প্রমাণ করতে পারেন।