দ্য স্টার নিউজ ডেস্ক ,
সাধারণত জরুরী চিকিৎসা সেবায় রোগী পরিবহণের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এজন্য রাস্তায় আইন–শৃঙ্খলাবাহিনীর বিশেষ সুবিধাও পেয়ে থাকে জনসেবায় ব্যবহৃত এ পরিবহনটি। আর এ সুযোগটির অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণঅবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা বহনের সময় ডিবি– লালবাগ বিভাগের চৌকস দলের হাতে ধরা পড়লো মাদক কারবারি চক্রের চারসক্রিয় সদস্য।গ্রেফতারকৃতরা হলো– ১। জোহরা বেগম (৩০), ২। মোঃ ফেরদৌস আকন্দ (৩২), ৩। মোঃ সোহাগ হোসেনমাতব্বর (৩৯) ও ৪। শাহাজালাল শেখ (৪০)।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ০৫:১০ ঘটিকায় চানখারপুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গাঁজা বহনে ব্যবহৃতঅ্যাম্বুলেন্সসহ তাদের গ্রেফতার করে ডিবি–লালবাগ বিভাগের লালবাগ জোনাল টিম। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ৪৫কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
ডিবি–লালবাগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারী ) দুপুরে ডিবি–লালবাগ বিভাগের লালবাগ জোনাল টিম ঢাকামহানগর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কতিপয় ব্যক্তি একটি সাদারঙের পুরাতন অ্যাম্বুলেন্সে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে মাতুয়াইল–বকশিবাজার রাস্তা দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করবে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর থেকে চারখারপুল সংলগ্ন সেক্রেটারিয়েট রোডে অবস্থান নেয় ডিবির টিম। বিকেলআনুমানিক ০৫:১০ ঘটিকায় কাঙ্খিত অ্যাম্বুলেন্সটি আসলে সংকেত দিয়ে সেটি থামানো হয়। পরবর্তীতে অ্যাম্বুলেন্সটিতল্লাশি করে ৪৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং গ্রেফতার করা হয় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা জোহরা বেগম, ফেরদৌস আকন্দ, সোহাগ হোসেন মাতব্বর ও শাহাজালাল শেখ নামের চারজনকে।
উদ্ধারকৃত গাঁজার আনুমানিক মূল্য পাঁচ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। এ সময় অবৈধ গাঁজা পরিবহনের অভিযোগে অ্যাম্বুলেন্সটিজব্দ করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপির শাহবাগ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলারুজু করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা দেশের সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লা থেকে অবৈধ গাঁজা সংগ্রহ করে কৌশলেঅ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী সেজে ঢাকা শহরসহ বিভিন্ন জেলা শহরে সরবরাহ করে থাকে। উদ্ধারকৃত গাঁজা বিক্রয় ও হস্তান্তরেরউদ্দেশে তারা পরিবহন করছিলো মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।