রবিবার (১৯ জানুয়ারি ) চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে পলিথিন বিরোধী ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: সংগৃহীত
দিপা আক্তার
বিশেষ প্রতিনিধি
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে এবার কঠোর হবে সরকার।
সরকার ব্যর্থ হলে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অকল্পনীয় ক্ষতি বয়ে আনবে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি ) চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে পলিথিন বিরোধী এবং পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদেরসঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।উপদেষ্টা বলেন, ক্যান্সারসহ অন্যান্যরোগ এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির জন্য দায়ী সেই পলিথিন আমাদের বর্জন করতেই হবে। আইনে নিষিদ্ধ বলেই শুধুনয়, সন্তানদের সুস্থ ভবিষ্যতের জন্যই পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন– চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্তপুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী শেখ মো. তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্যরাখেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (দূষণ নিয়ন্ত্রণ) সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। মূল প্রবন্ধে তিনি পলিথিনের ক্ষতিকর দিক ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের বিষয়সমূহ উল্লেখ করেন।উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানাহাসান বলেন, ঢাকা শহরের সুপার শপিং মলগুলো হতে ৯০ শতাংশ পলিথিন দূর করা গেছে। সেখানে কাপড়, কাগজ ওপাটের ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পলিথিন বন্ধে যুবকদের সংশ্লিষ্ট করা হচ্ছে। মার্কেট মনিটরিংয়ের জন্য কমিটি করা হয়েছে। সারাদেশ থেকেইপর্যায়ক্রমে পলিথিন দূর করা হবে। উপদেষ্টা এ সময় পাহাড় কাটাসহ শব্দদূষণ রোধে সকলের প্রতি সহযোগিতার আহ্বানজানান।
তিনি আরও বলেন, পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব আমাদের পরিবেশ, জীববৈচিত্র এবং স্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে।নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে সরকার, ব্যবসায়ী, ভোক্তা এবং স্থানীয় জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সভা শেষে পরিবেশ উপদেষ্টা চট্টগ্রামের কাজির দেউড়ি কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি দোকানদার ও সাধারণমানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করারআহ্বান জানান।